কৌস্তুভ পান্ডা
সমগ্র মনুষ্যজাতিকে যতরকম সাধারণ শত্রুর সঙ্গে লড়তে হয়েছে, তার কোনওটাই কোভিড-১৯-এর সঙ্গে লড়াইয়ের মতো নয়। সেসব লড়াইতে এমন অপ্রত্যাশিত মোচড় ছিল না, সে সব লড়াই কখনও এমন ধাঁধা লাগায়নি, সে সব লড়াই আমাদের ক্রমশ এমন হতাশ করে তোলেনি। সে কারণেই, এই ভাইরাসটার বিরুদ্ধে আমরা কোন অস্ত্র ব্যবহার করব তার থেকেও বড় কথা হল আমাদের রণকৌশলটা কী হবে।
আজ অবধি আমরা এমন কোনও একক ওষুধ খুঁজে পাইনি, বা একক কোনো চিকিৎসা পদ্ধতিও বের করতে পারিনি যাতে ভাইরাসটাকে আমাদের শরীরের ভেতর মেরে ফেলা যায়। নিরাময়ের জন্য যতরকম হাতিয়ার ব্যবহার করা হচ্ছে তার সমস্তই আদতে অন্য কোনও রোগের ওষুধ, সেগুলোই ঘুরিয়ে কাজে লাগানো হচ্ছে মাত্র। এর অর্থ হল, সেগুলো ইতিমধ্যেই অন্য কোনও না কোনও রোগের চিকিৎসায় বা ভাইরাস দমনে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু এই বিশেষ ভাইরাসটির বিরুদ্ধে তার কোনওটারই কার্যকারিতা আগে পরীক্ষা করে দেখা হয়নি, বা তার সাফল্য অবিসংবাদিত ভাবে প্রমাণ করা হয়নি। এ কথাটা আজ ক্রমশ বিবর্তিত নানা ভ্যারিয়েন্টগুলোর দিকে তাকিয়ে আরও বেশি করে সত্য বলে মনে হচ্ছে।
এই ভাইরাসের মোকাবিলার জন্য এরপর আর যে সম্ভাব্য পথটা পড়ে থাকে তা হল ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিন ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য হল ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের শরীরে একটা দুর্গ গড়ে তোলা অর্থাৎ একটা প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। কিন্তু এগুলো রোগ যখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তখন কাজে লাগার মতো কোনও ওষুধ নয়, তাই ভাইরাস আক্রমণ করতে পারে এমন ভাবনা উদয় হওয়ার সময়েই সেটা প্রয়োগ করা দরকার।
ফলে, অতিমারী যখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তখন জোরদার ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করা হল শত্রু এসে পড়ার পর দুর্গ গড়তে বসার সমান। এতে পরাজয় ঘটারই সমূহ সম্ভাবনা। কারণ ভাইরাসটা যখন সত্যি সত্যি আমাদের আক্রমণ করবে তখন আমাদের প্রতিরোধ হয়তো আধাখ্যাঁচড়া রকমে তৈরি হয়েছে বা একেবারেই হয়নি। এই বিপদটা বিশেষ করে খুবই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে যখন দ্রুত মিউটেশনের মধ্য দিয়ে ভাইরাসটা তার চেহারা আর রোগলক্ষণের তীব্রতার মাত্রা অবিরত বদলে বদলে ফেলে। আমাদের শরীরের অনাক্রম্যতা শক্তিকে বা ইমিউনোলজিক্যাল ডিফেন্সকে তা বিভ্রান্ত করে দেয় এবং তাকে এড়িয়ে যায়। কাজেই ভ্যাকসিন নেওয়া মানেই যে তা আমাদের শরীরে ইমিউনিটির অভ্রান্ত আশ্বাস, এ কথাটাকে নির্বিচারে গ্রহণ করা যাবে না।
দেখেশুনে মনে হচ্ছে বহু মানুষই প্রথম এক ডোজ ভ্যাকসিন নিতেই এমন একটা ভ্রান্ত মোহে ভুগছেন যেন অনাক্রম্যতার দাক্ষিণ্য পেয়ে গেছেন। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা বা মুখোশ পরা, এর কোনোটাই তাঁদের কাছে আর জরুরি বলে ঠেকছে না। এতে আরও বেশি করে সংক্রমণ ছড়াবে এবং জনসমাজকে তা আরও বিপদে ফেলবে।
অনেকে বলছেন, কেবল মাত্র ভ্যাকসিন দেওয়ার মধ্য দিয়েই আমরা হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে পারব। এঁরা সম্ভবত দ্রুত মিউটেশনের সাহায্যে বদলে যেতে থাকা আর এন এ ভাইরাসের কার্যকলাপের চরিত্রটা ভালো করে জানেন না, আজকের নভেল করোনাভাইরাস এ ধরনের ভাইরাসেরই এক নমুনা। আমরা যত দ্রুত ভ্যাকসিন বানাই না কেন, এরা তার থেকেও দ্রুত গতিতে বদলে গিয়ে তার চোখে ধুলো দিতে সক্ষম। এর অর্থ হল, আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে হাসপাতালে বা নানা ক্লিনিকে ভ্যাকসিন নেবার জন্য দৌড়োদোড়ি করা, আর এমন এক বিশ্বাসে বুঁদ হয়ে থাকা যে এটা আমাকে রাতারাতি ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচার ক্ষমতা এনে দেবে, এটা মোটে বিবেচকের মতো কাজ নয়। এ কথাটা গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে ঠিক এই মুহূর্তে, যখন অজস্র সংক্রমিত মানুষ চারিদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।
মনে রাখা দরকার, এমনও ঘটতে পারে যে, কেউ কেউ হয়তো ভ্যাকসিন নিলেন কিন্তু উদ্দিষ্ট অনাক্রম্য ক্ষমতা তৈরি হল না, এমনকি দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার বহু মাস পরেও না।
সমস্ত ভ্যাকসিনই ব্যবহৃত হচ্ছে কেবল জরুরি ভিত্তিতে। দেশজোড়া নানা রকম ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে এগুলোর কোনটা কেমন কাজ করে সে ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। কাজেই ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেই সম্পূর্ণ ইমিউনিটি পেয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখা ঠিক হবে না। প্রকৃত ঘটনা হল, দু ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও বহু মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন।
আরও একটা কথা মনে রাখা দরকার, যারা একবার রোগে ভুগেছেন, তাদেরও আবার সংক্রমণ ঘটছে, কারণ আপাতদৃষ্টিতে প্রথমবার সংক্রমণের পরেও তাঁদের শরীরে স্বাভাবিক ইমিউনিটি তৈরি হয়নি। কাজেই স্বাভাবিক ইমিউনিটি বা ভ্যাকসিন নেওয়ার মধ্য দিয়ে হার্ড ইমিউনিটি গড়ে তোলার কাজটা আগে যতটা কঠিন ভাবা হয়েছিল তার থেকেও অনেক কঠিন, বিশেষ করে এই ঝড়ের বেগে মিউটেশন ঘটতে থাকা ভাইরাসটির বিরুদ্ধে।
কাজেই সুরাহা পাওয়ার জন্য আপাতত সবথেকে সেরা কাজটা হল নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখা এবং শরীরে ভাইরাস ঢুকলে তারপর তা বিনাশ করব এই ভাবনা ত্যাগ করা। কীভাবে এ কাজটা ঠিকঠাক করা সম্ভব সেটা বের করতেও হয়তো আমাদের এখনও বহুদিন লেগে যাবে।
ঠিকঠাক সুফল পেতে হলে কোনো জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিন দিতে হবে যখন সংক্রমণের হার থাকে খুবই কম। কেন? কারণ, প্রথমত, এই অবস্থায় ভাইরাসটা কিছুটা নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে, ভ্যাকসিন যারা পাচ্ছে তারা সংক্রমিত থাকে না। দ্বিতীয় কারণ হল, ভ্যাকসিন নিতে গিয়েই সংক্রমিত হবার আশঙ্কা থাকে কম।
ভারতে সংক্রমণের মাত্রা খুব নীচে নেমে এসেছিল ২০২০র ডিসেম্বর নাগাদ এবং এ বছর মার্চের শেষ অবধিও ওরকম ছিল। তার অর্থ, ভ্যাকসিনের মাধ্যমে এই দ্বিতীয় ঢেউ থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য আমরা তিনটে মাস সময় পেয়েছিলাম। ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য আমাদের যে বিরাট পরিকাঠামো আছে, তা কাজে লাগিয়ে আমাদের জনসংখ্যার অধিকাংশকেই এই সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন দিয়ে দেওয়া সম্ভব ছিল।
ঠিক এই সময়টাতেই আমাদের অবেহেলার মুখে পড়তে হল। আমরা ৬ কোটি মানুষকে কেবল ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দিতে পেরেছি, যা আমাদের মোট জনসংখ্যার ৪ শতাংশ মাত্র। আমাদের দেশের বিপুল জনসংখ্যার সাপেক্ষে এই সংখ্যাটা কিছুই নয়, ফলে সংক্রমণের বাড়াবাড়িও ঠেকানো যায়নি।
এটাও বোঝা গেল না কেন আমরা ভ্যাকসিন তৈরি আর ভ্যাকসিন সংগ্রহের দিকে নজর না দিয়ে ‘ভ্যাকসিন ডিপ্লোম্যাসি’র মোহে পড়লাম। ভারতে যখন এইসব প্রতিষেধকের জন্য হাহাকার চলেছে তখন ৬৬ মিলিয়ন ইউনিট ভ্যাকসিন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্য দেশে। ফাইজার, মডার্না বা জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিনগুলো ব্যাপক ব্যবহৃত এবং আরও বেশি কার্যকর হওয়া সত্ত্বেও সেগুলো আমদানির কোনও চেষ্টা চোখে পড়েনি। আমাদের কোনো সুপরিকল্পিত ভ্যাকসিন প্রোগ্রামও গড়ে তোলা হয়নি, দ্বিতীয় ঢেউ আসার আগেই ভারতের অধিকাংশ মানুষকে সুরক্ষিত করার জন্য সেটা জরুরি ছিল।
ভ্যাকসিনের এই চলতি সংকট জনসাধারণের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলবে। এই সংকট আরও বাড়বে কারণ ১৮-৪৫ বছর বয়ঃসীমার জনসাধারণ, যারা আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ, তারা এখন ভ্যাকসিনের প্রত্যাশী। অথচ প্রথম ডোজ নেওয়ার পর যাঁরা দ্বিতীয় ডোজের প্রতীক্ষা করছেন, তাঁদের অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং তাঁদের মধ্যে থাকবেন স্বাস্থ্যকর্মী, গুরুত্বপূর্ণ গণপরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা, কো-মরবিডিটি যুক্ত জনসাধারণ এবং বয়স্ক নাগরিকরা। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক ব্যাপার, কারণ কেবল প্রথম ডোজ থেকে দ্রুত বাড়তে থাকা ভাইরাসের হাত থেকে যথেষ্ট প্রতিরক্ষা মেলে না। এবং ঠিক সময়মতো দ্বিতীয় ডোজটা না পেলে প্রাথমিক ভাবে যে স্বল্প মাত্রার অ্যান্টিবডি শরীরে তৈরি হয়েছিল তাও ক্রমশ হারিয়ে যেতে থাকবে। তা ছাড়াও শরীরে স্থায়ী ইমিউনোলজিক্যাল স্মৃতি তৈরি হওয়ার জন্য প্রথম ডোজের ফলে কোষে যে ইমিউনিটি সূচিত হয়েছিল তার ওপরেও প্রভাব পড়বে। কাজেই ভাইরাসটাকে ভালোমতো নিষ্ক্রিয় করার জন্য আমাদের শরীরে ইমিউনিটির মাত্রাকে বাড়িয়ে তোলা আবশ্যক এবং তার উপায় হল দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন।
আরও কথা আছে। যে মানুষরা দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন পেলেন না, তাঁরা যদি সংক্রমিত হন, এবং বিশেষ করে দ্বিতীয় তরঙ্গে যে মারাত্মক চরিত্রের ভ্যারিয়েন্ট দেখা দিয়েছে তার দ্বারা সংক্রমিত হন, তাহলে ভাইরাসটা হয়তো নিরীহ ইমিউন প্রতিরক্ষার বেড়া কাটিয়ে এমন জোরালো এক ধরনের জন্ম দেবে যেটা আমাদের ইমিউন ব্যবস্থাকে এড়াতে আরও বেশি দক্ষ। সেটা যদি ঘটে, তাহলে ওরকম স্ট্রেনের মোকাবিলা করা কঠিন হবে এবং তার থেকেই দেখা দেবে নতুন আর একটা সংক্রমণ তরঙ্গ।
ভ্যাকসিন দেওয়া জরুরি, কিন্তু তা করতে গিয়ে সর্বত্র যখন এই ভাইরাস ছড়িয়ে রয়েছে তখন বেশি বেশি করে তরুণ-তরুণীদের বের করে আনলে তাদেরও এইসব নতুন ভয়ঙ্কর স্ট্রেনগুলোর সামনে ফেলে দেওয়া হবে। লোক জড়ো করে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজটা ভীষণ সাবধানে করা দরকার। যথেষ্ট ভ্যাকসিনের সরবরাহ রাখা দরকার এবং পারস্পরিক দূরত্ববিধি মেনে চলা দরকার। দুর্ভাগ্যবশত এর কোনওটার দিকেই দৃষ্টি দেওয়া হচ্ছে না।
আরেকটা জিনিস আমরা দেখেও দেখি না। আমাদের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টারা সরকারকে একটা অতি জরুরি কাজে উদ্বুদ্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছেন, সেটা হল অজস্র সংখ্যক মিউট্যান্ট এবং ভ্যারিয়েন্টের জিনোম সিকোয়েন্স বের করা। এ থেকে আমরা বুঝতে পারতাম ঠিক কত ধরনের ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট এই মুহূর্তে সক্রিয় আছে এবং একই সঙ্গে জানতে পারতাম তাদের উৎস এবং তাদের রোগপ্রভাবের মাত্রা। তার ফলে রোগ সংক্রমণের সংযোগসূত্রগুলোর হদিশ আরও ভালোভাবে পাওয়া যেত। দুর্ভাগ্যবশত এ কাজটা যখন করা দরকার ছিল তখন আমরা তাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করিনি।
আজ আমরা জানি না ভাইরাসটার কতগুলো ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে এবং তাদের সংক্রমণ বা প্রাণনাশের ক্ষমতা কতদূর। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক মহল এ ব্যাপারে হয় চুপচাপ বসে আছে নয়তো ভাইরাসটা নিয়ে যেসব গবেষণা জরুরি তার উদ্যোগ নিতে বিলম্ব করে চলেছে। এ ধরনের গবেষণার ফলাফল হাতে না থাকলে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার পরিমাপ করা ভারি দুরূহ, এবং চলতি ভ্যাকসিন প্রকল্প থেকে আমাদের যা প্রত্যাশা তা মেটানোও ভারি কঠিন।
কাজেই ভ্যাকসিন দেওয়া হোক বা না হোক, এই অতিমারীর হাত থেকে রেহাই পাওয়ার একমাত্র উপায় ভাইরাসটা থেকে দূরে থাকা, কারণ আমরা যত এটার মুখোমুখি হব বা এটাকে শরীরে ডেকে আনব, তত আমরা অমূল্য প্রাণ হারাব এবং সেই সঙ্গে এটাকে আরও বেশি করে মিউটেটেড হওয়ার সুযোগ দেব। বলা বাহুল্য সেটা সামলানো তখন আরও কঠিন হয়ে পড়বে। অতএব আমাদের ঘরের ভেতরেই থাকতে হবে, নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে হবে, বাইরের কিছুর সঙ্গে সংস্পর্শ ঘটলেই বীজাণুনাশক ব্যবহার করতে হবে। আমরা সকলেই বাঁচব, না সদলে নিশ্চিহ্ন হব জানি না, কিন্তু সমস্ত নাগরিক যতক্ষণ না এই অভ্যাস রপ্ত করছেন এবং এই নির্দেশগুলো মেনে চলছেন, এর হাত থেকে মুক্তি নেই। নান্য পন্থা।
[অনুবাদ: যুধাজিৎ দাশগুপ্ত]
রচনাটি Shot in the dark শিরোনামে The Telegraph Online পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ৯ মে ২০২১ তারিখে। কৌস্তুভ পান্ডা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গুহ সেন্টার ফর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের জীবরসায়নবিদ্যার অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান